photo

আপনার কোম্পানীর জন্যে কেমন লোগো প্রয়োজন

সাধারণত ৭ প্রকারের লোগো রয়েছে। প্রত্যেক প্রকার লোগোরই ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা ও সুবিধা রয়েছে। কাজেই আজকের এই লেখায় বিভিন্ন প্রকার লোগোর বৈশিষ্ট্য এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কি ধরণের লোগো ব্যবহার করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করবো।

ওয়ার্ড মার্ক

ওয়ার্ড মার্ককে অনেকে লোগো টাইপ নামে বলে থাকে। নাম দেখে আশা করি বুঝতে পারছেন এধরণের লোগোর সংজ্ঞা কি হতে পারে। ওয়ার্ড মার্ক লোগো সাধারণত টাইপোগ্রাফি ভিত্তিক হয়ে থাকে। অর্থাৎ টেক্সটের মধ্যেই কোম্পানির নাম বা ব্রান্ড নাম থাকে।

এ ধরনের লোগোতে যেহেতু শুধুমাত্র টেক্সট ব্যবহার করা হয়, তাই টেক্সটের স্টাইল, রং ইত্যাদি পরিবর্তনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। যেমন: Google, Ebay, Coca Cola ইত্যাদি।

লেটার মার্ক

লেটার মার্ক সাধারণত মনোগ্রাম লোগো নামে পরিচিত। এ ধরণের লোগোতে কোম্পানির নামের প্রথম অক্ষর কিংবা সংক্ষিপ্তকরণ করা হয়। যেমনটা আমরা ম্যাকডোনাল্ডস, এইচবিও, এইচপি, সিএনএন, বিবিসি ইত্যাদি কোম্পানির ক্ষেত্রে দেখে থাকি।

ম্যাকডোনাল্ডস তাদের কোম্পানির প্রথম অক্ষর এম দিয়ে লোগো তৈরি করে নিয়েছে। অপরদিকে সিএনএন কিংবা বিবিসি তাদের বিশাল আকারের কোম্পানি নাম পরিহার করে শুধুমাত্র প্রথম অক্ষর ব্যবহার করে লোগো তৈরি করেছে। আর এই ধরণের লোগোকে লেটার মার্ক লোগো বলা হয়।

লেটার মার্ক লোগো টাইপোগ্রাফি ভিত্তিক হলেও এখানে কেবল কোম্পানির নামের প্রথম অক্ষর বা সংক্ষিপ্ত রূপ বসে। এধরণের লোগো তৈরির ক্ষেত্রে বেশ সর্তক থাকতে হয়।

এমব্লেম

এমব্লেম লোগো টেক্সট এবং আইকন বা সিম্বল যুক্ত করে একসাথে ডিজাইন করা হয়। এই ধরণের লোগো সাধারণত চিরাচরিত লোগোর অন্যতম উদাহরণ। ব্রান্ড লোগো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সংগঠন এবং সরকারী সংস্থা সূমহে ব্যবহার করা হয়। মধ্যযুগ থেকেই এই ধরনের লোগোর প্রচলন আছে।

মাস্ককোটস

কার্টুন, কালার ফুল ছবি অথবা ব্যঙ্গ এধরনের বৈশিষ্ট্যর মিশ্রণে যে ধরণের লোগো তৈরি হয়, তাকে মাস্ককোটস লোগো বলা হয়। মাস্ককোটস লোগো সাধারণত ইলাস্ট্রেশন ভিত্তিক হয়ে থাকে। কেএফসির লোগো হলো মাস্ককোটস লোগোর শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।

অ্যাবস্ট্রাক্ট

অ্যাবস্ট্রাক্ট লোগো সাধারণত কোম্পানির আইডিয়া, গুনাগুণকে উপস্থাপন করে। অ্যাবস্ট্রাক্ট লোগো শেপ কিংবা ছবি ভিত্তিক হয়ে থাকে। এটা হতে পারে আপেল, পাখি কিংবা ফুলের ছবি। রং এবং অনন্য স্টাইলের মিশ্রণে ডিজাইন করা হয় এই ধরণের লোগো।

লোগো সিম্বল

আইকন ভিত্তিক লোগোকে সাধারণত সিম্বল/ ব্রান্ড/ পিক্টোরিয়াল লোগো বলা হয়। আপনার কোম্পানির জন্য সুনির্দিষ্ট আইকন নির্বাচন করবেন যার দ্বারা সহজেই মানুষ আপনার কোম্পানিকে চিহ্নিত করতে পারবে।

কম্বিনেশন মার্ক

পৃথিবীর সব কিছুই সাদা কালো নয়। আপনার কেবল এক ধরণের লোগো নির্বাচন করা সুযোগ নেই। এমন পরিস্থিতি হতে পারে যেখানে উপরের কয়েক রকম লোগোর মিশ্রণ করা প্রয়োজন হতে পারে। এই ধরণের লোগোকে কম্বিনেশন মার্ক বলা হয়।