photo

কিভাবে অনলাইনে নিজেকে নিরাপদ রাখবেন

আধুনিক সভ্যতায় তথ্য প্রযুক্তির নতুন নতুন ফিচারে উদ্ভাবন ঘটছে প্রতি নিয়তই। আমরা এই সব তথ্য প্রযু্ক্তিকে কাজে লাগিয়ে জীবনযাত্রার মানকে করেছি আরো উন্নত ও সহজতর। প্রযুক্তির যেমনটি সুফল রয়েছে আমাদের প্রাতাহ্যিক জীবনে। ঠিক তার অপব্যবহারে কুফলের পরিমানটাও কম না। বিশাল এই অনলাইন বা প্রযুক্তির প্লাটফর্মে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে আপনাকেই। আপনার নিরাপত্তার কলকব্জা রয়েছে আপনারই হাতে। কিভাবে থাকবেন অনলাইনে নিরাপদ ? আসুন জেনে নেয়া যাক ৫ উপায়।

১) সফটওয়্যার হালনাগাদ রাখুন :

হালনাগাদ সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। যখনই কোনো সফটওয়্যারের আপডেট বা হালনাগাদ উন্মুক্ত করা হবে, তা ইনস্টল করে নিন। এতে নানা ধরণের পরিচিত ম্যালওয়্যার থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

২) ভাইরাসযুক্ত ওয়েবসাইট ও অযাচিত মেইল এড়িয়ে যান :

শুধু ভাইরাসপূর্ণ ওয়েবসাইটে যাওয়া বাদ দিলেই হবে না, এর সঙ্গে প্রতারণাপূর্ণ মেইলের লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেসব মেইলে লোভনীয় অফার বা নানা প্রলোভন দেখানো হয়, সেই সব অযাচিত মেইল পড়াও বাদ দিতে হবে। যদি ব্যাংকের নামে কোনো মেইলও হয়, তবে মেইলের লিংকে ক্লিক না করে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বা ওই লিংকটি ব্রাউজারে পেস্ট করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

৩) প্রাইভেসি সেটিংস ব্যবহার করুন :

সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে আপনার যে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তার প্রাইভেসি সেটিংস ভালো করে খেয়াল করুন। আপনার বিশ্বস্ত গ্রুপের বাইরে কারও কাছে তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। আগের বিভিন্ন সবার জন্য উন্মুক্ত করা পোস্টগুলোতে নজর দিন। প্রাইভেসি সেটিংস ঠিকঠাক থাকলে কারও প্রোফাইল লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো সাইবার দুর্বৃত্তদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আপনি যা পোস্ট করেন, তা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিলে সারা দুনিয়া দেখবে। তাই গুরুত্বপূর্ণ কিছু পোস্ট করার আগে প্রাইভেসির বিষয়টি নিয়ে ভালো করে ভাবুন।

৪) পাসওয়ার্ডের বাইরেও ভাবুন :

এখন আর শুধু পাসওয়ার্ড দিয়ে নিজেকে নিরাপদ ভাবা ঠিক হবে না। প্রায় সময়ই পাসওয়ার্ড হ্যাক হতে দেখা যাচ্ছে। টু-স্টেপ অথেনটিকেশন বা দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবহার করুন। এখন অনেক ওয়েবসাইট বা সার্ভিস দুই স্তরের নিরাপত্তা দিচ্ছে। দুই স্তরের এই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় ব্যবহারকারীকে তাঁর অ্যাকাউন্টে নিয়মিত পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পাশাপাশি লগ ইন করার সময় স্মার্টফোন ও ট্যাবে আরও একটি কোড ব্যবহার করতে হয়। এতে অতিরিক্ত একটি স্তরের নিরাপত্তা পাওয়া যায়। তাই যতক্ষণ হাতে মোবাইল থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত আর কেউ অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারছে না সেই বিষয়টি নিশ্চিত হয়। অ্যাপল, গুগল, ফেসবুক, ড্রপবক্সের মতো অনেক সার্ভিসের ক্ষেত্রে দুই স্তরের এই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া রয়েছে। নতুন কোনো যন্ত্রে যখনই লগ ইন করতে যাবেন, তখন পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর একটি গোপন কোড চাওয়া হবে। এটি কেবল আপনার ফোনে ততক্ষণাৎ পাবেন। যদি হ্যাকার আপনার পাসওয়ার্ড জানে, তবে আপনার মোবাইলে আসা কোড না জানা পর্যন্ত অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারবে না।

৫) ই-মেইলের নিরাপত্তা সেটিংস উন্নত করুন :

আপনি যাঁদের কাছ থেকে মেইল পান, তাঁদের মেইলের পাঠানো ছবি ​কি স্বয়ংক্রিয় ডাউনলোড হয়ে যায়? ওয়েব কিংবা ই-মেইল থেকে যদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি, ভিডিওসহ অন্যান্য উপকরণ ডাউনলোড হতে থাকে তা বন্ধ করে দিন। কিছু ই-মেইল ক্লায়েন্ট বাইডিফল্ট এ সুবিধা রাখে আবার কিছু ক্লায়েন্ট রাখে না। তাই মেইল ক্লায়েন্টের সব মেইল পরীক্ষা করে দেখা ভালো।

আশাকরি এই ৫ উপায় কাজে লাগিয়ে অনলাইন জীবন হবে নিরাপদ ও আনন্দময়।